কলকাতা ফ ঘোষ বাবু

  1. বাবু সংস্কৃতি ও শ্রেণি অভিমান – শেয়ার বিজ
  2. বাবরের প্রার্থনা কবিতা, কবি শঙ্খ ঘোষ
  3. বাঈজী কালচার এবং সেকালের কলকাতার ‘বাবু’ সম্প্রদায় [পর্ব ২]


Download: কলকাতা ফ ঘোষ বাবু
Size: 30.10 MB

বাবু সংস্কৃতি ও শ্রেণি অভিমান – শেয়ার বিজ

অনাথ শিশুর মতো যার জীবনখানি নিস্তরঙ্গে নিথর হতে পারতো নিযুত জীবনের নিঠুর নিয়তিপাশে তিনি জুগিয়েছেন হৃৎস্পন্দনের খোরাক। দেশের জন্য লড়েছেন। শূন্য জমিনে গড়েছেন ব্যবসায় কাঠামো। জীবনের সব অর্জন লিখে দিয়েছেন মানুষের নামে। তিনিই দেশের সবচেয়ে সফল ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ‘কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’-এর জনক রণদা প্রসাদ সাহা। নারীশিক্ষা ও চিকিৎসায় নারী-পুরুষ কিংবা ধনী-গরিবের ভেদ ভেঙেছেন। তার জীবনেই রয়েছে সসীমকে ডিঙিয়ে অসীমে শক্তি সঞ্চারের কথামালা। এ জীবন ও কেতন যেন রোমাঞ্চিত হৃদয়েরই উদ্দীপ্ত প্রেরণা। পর্ব-৪৫ মিজানুর রহমান শেলী: বিশ শতকের এই সময়ে শ্রেণিদম্ভ আর জাত্যাভিমান ছিল প্রকট। কোনো অগঠিত শ্রেণির মানুষ গঠিত হোক তাতে বনেদি শ্রেণির আঁতে যেন ঘা লাগত, লেজে যেন কাটা পড়ত। এই ছিল নতুন ইংরেজি শেখা বাবুদের অহমিকা। কালীপ্রসন্ন লিখেছেন, আলবার্ট ফ্যাশনে চুল ফেরানো, চীনের শুয়রের মতো শরীরটি ঘাড়ে-গর্দানে, হাতে লাল রুমাল ও পিচের ইস্টিক, সিমলের ফিনফিনে ধুতি মালকোঁচা করে পরা, হঠাৎ দেখলে বোধহয় রাজ-রাজড়ার পৌত্তর; কিন্তু পরিচয়ে বেরোবে ‘হৃদে জোলার নাতি!’ হঠাৎ বাবু হয়েছিলেন এরা। (দারিদ্র্যমুক্তি অবশ্য কাম্য) কেননা, তারও আগে কেউ নিজে নিজে বাবু হতে পারতেন না। এটা ছিল নবাবের দেওয়া উপাধি। কিন্তু ইংরেজদের বদান্যতায় নিচু শ্রেণির লোকেরা যখন ইংরেজি শিখল, অর্থকরী-কড়ি কামালো, সরকারের কেরানি হলো (শ্রেণিবৈষম্যের মূলৎপাটনের দৃষ্টিতে দোষের নয়), তখন তাদের ভাবখানা এমন ছিল যে, ‘দারগা বলিছে কাকি আমি কি আর মানুষ আছি’। এসব দম্ভে তারা নতুন কারও উন্নতি সহ্য করতে পারতেন না। অবশ্য আগেকার বাবুদের ঠাটবাট ছিল অন্যরকম। সাদাসিধা জীবনের মানুষ ‘বাবু’ হতে পারতেন না। বাবু হতে গেলে কুকুরের বিয়েতে লাখ টাকা খরচ করা, চার ঘোড়ার গাড়ি চড়ে ভেঁপু ...

বাবরের প্রার্থনা কবিতা, কবি শঙ্খ ঘোষ

Primary Navigation Menu Menu • কবিতা অঞ্চল • চিঠি • কবি • কাব্যগ্রন্থ • বিষয়ভিত্তিক • প্রেম • বিরহ • জীবনমুখী • রাজনৈতিক • স্বাধীনতা • রূপক • সমসাময়িক • হাংরি প্রজন্ম • কবিতা অঞ্চল – ১ • Help • কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন? • কিভাবে কবিতা যোগ করবেন? • কিভাবে প্রোফাইল আপডেট করবেন? • LOGIN • REGISTRATION 4.4/5 - (68 votes) এই তো জানু পেতে বসেছি, পশ্চিম আজ বসন্তের শূন্য হাত— ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক। কোথায় গেল ওর স্বচ্ছ যৌবন কোথায় কুড়ে খায় গোপন ক্ষয়! চোখের কোণে এই সমুহ পরাভব বিষায় ফুসফুস ধমনী শিরা! জাগাও শহরের প্রান্তে প্রান্তরে ধূসর শূন্যের আজান গান ; পাথর করে দাও আমাকে নিশ্চল আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক। না কি এ শরীরে পাপের বীজাণুতে কোনোই ত্রাণ নেই ভবিষ্যের মৃত্যু ডেকে আনি নিজের ঘরে ? না কি এ প্রসাদের আলোর ঝল্ সানি পুড়িয়ে দেয় সব হৃদয় হাড় এবং শরীরের ভিতরে বাসা গড়ে লক্ষ নির্বোধ পতঙ্গের ? আমারই হাতে এত দিয়েছ সম্ভার জীর্ণ ক’রে ওকে কোথায় নেবে ? ধ্বংস করে দাও আমাকে ঈশ্বর আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত অতুলপ্রসাদ সেন অদিত্য চৌধুরী অদিপ্ত অরণ্য অনন্ত আরফাত অনন্যা চ্যাটার্জী অনিমেষ প্রাচ্য অনিরুদ্ধ আলম অনিরুদ্ধ সরকার প্রথম অপূর্ব সূত্রধর অবিরুদ্ধ মাহমুদ অভিক নৃ অভিজিৎ আকাশ অভিজিৎ দাস অভিজিৎ নন্দী অভিজিৎ নস্কর অভিজিৎ হালদার অভিলাষ মাহমুদ অভ্র আরিফ অমল ভৌমিক অমি রেজা অমিতাভ দাশগুপ্ত অমিয় চক্রবর্তী অয়ন আবদুল্লাহ অরণ্য মজিদ অরুণেশ ঘোষ অর্ক চক্রবর্তী অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী অর্ঘ্যদীপ বিষই অর্পিতা ঐশ্বর্য অর্পিতা মন্ডল অলিউল্লাহ্ হোসেন অনিক অলোক নন্দন অসিত জাওয়াদ ইসমাম অসীম চক্রবর্ত্তী আ আখতারুজ্জামান আজাদ আঁখি আক্তার আজমাইন নিজাম আজহারুল ইসলাম শুভ্র আ...

বাঈজী কালচার এবং সেকালের কলকাতার ‘বাবু’ সম্প্রদায় [পর্ব ২]

সেই সময় নাচে গানে পটু গণিকাদের একটা সম্মানীয় নাম ছিল—বাঈজী। ওই সুন্দরী বাঈজী দের বাবু ও জমিদারেরা ভাড়া করে আনতেন। নাচ, গান, বাজনা আর খাওয়া দাওয়ার সঙ্গে বাজী পােড়ানাে এবং আরও কুৎসিত আমােদ-প্রমােদের উৎসব চলতাে ঢালাওভাবে। বাড়ির এই উৎসবে ইংরেজ মনিবদের নেমন্তন্ন করা হােত। এই ছিল নগর কলকাতার নাগরিক জীবনের একমাত্র সাংস্কৃতিক পরিচয়। ‘আত্মীয়সভা’ ও ‘ধর্মসভা’র গােষ্ঠীভুক্ত রাজা রামমােহনের বাড়িতে, প্রিন্স দ্বারকানাথের বাগান বাড়িতে, রাজা রাধাকান্ত দেবের গৃহে, মহারাজ সুখময় রায়ের বাড়িতে, রাজা গােপীমােহন দেবের বাড়িতে, বেনিয়ান বারাণসী ঘােষের বাড়িতে এসব জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান নিয়ে পারস্পরিক প্রতিযােগিতা চলত। ১৮২৯ সালে গােপীমােহন দেবের বাড়িতে পূজা উপলক্ষে লর্ড ক্যাম্বারমিয়ার-সহ লর্ড ও লেডি বেন্টিঙ্ক বাঈজী -নাচ দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন। নিকী ছিলেন সেকালের এক নামকরা বাঈজী। নিকী ছাড়াও আশরুন, ফৈয়াজ বক্স, বেগমজান, হিঙ্গুল, নান্নিজান, সুপনজান, জিন্নাত প্রভৃতি সেকালের বিখ্যাত বাঈজীদের নিয়ে এসে নাচগানের ব্যবস্থা করা হত। এই সমস্ত বাঈজীরা তখন শােভাবাজার, চোরাবাগান, বটতলা, শুরাে, মাণিকতলা এককথায় সারা কলকাতা মাতিয়ে রেখেছিল। এইসব বাঈজী নাচের আসরে একদিকে চণ্ডীমণ্ডপে চলেছে দেবী দুর্গার পূজা অন্যদিকে উঠোনের সামিয়ানার তলায় লম্বা খাবার টেবিল তাতে টার্কি, শুয়ােরের মাংস, দেশি বিদেশি কতসব খাবার আর দামি মদ সাজানাে। পর্তুগিজ আর মুসলমান বাবুর্চিরা সেদিন দারুণ ব্যস্ত। বাবুরা দামি পােশাক এমনকী গয়না পরে (অবশ্য হার, বাজু ইত্যাদি) সেজেগুজে কোচানাে কেঁচা হাতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘরের ভিতর বাঈজী নাচ চলছে আর অন্য এক বিরাট বলরুমে ইউরােপীয় নাচ। এ ছিল সেদিনের দুর্গাপুজোর আসর। নর্তকীদের আনার জন্য ...