রাজা রামমোহন রায়

  1. রাজা রামমোহন রায়: আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলার অগ্রদূত
  2. সমাজ সংস্কারে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান বা ভূমিকা
  3. রাজা রামমোহন রায়ের অবদান
  4. রাজা রামমোহন রায়: সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
  5. রাজা রামমোহন রায় ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা : সংবাদ অনলাইন
  6. English to Hindi Transliterate
  7. রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী
  8. রাজা রামমোহন রায়
  9. রামমোহন রায়
  10. রাজা রামমোহন রায়: সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর


Download: রাজা রামমোহন রায়
Size: 55.14 MB

রাজা রামমোহন রায়: আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলার অগ্রদূত

ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশের আদি ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, যেসব মানুষ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমাজে যে যে ধরনের পরিবর্তন এনেছেন, তাদের মধ্যে রাজা রামমোহন রায়ের নাম থাকবে সবার উপরে। এর কারণ হচ্ছে আঠারো এবং উনিশ শতকে বাংলার মাটিতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা- এসব ক্ষেত্রে যে যে পরিবর্তন এসেছে তার জন্য পুরো কৃতিত্ব রাজা রামমোহন রায়ের। তার সাথে আরও অনেকেই সে সময় কাজ করেছেন। কিন্তু শুরুটা করে দিয়েছিলেন তিনিই। আজকে আমরা বাংলায় যে সমাজ দেখি, শিক্ষার দিক দিয়ে যে পরিবর্তনের ধারা দেখি, তার বীজ বপন করে দিয়েছিলেন রাজা রামমোহন রায়। তার অবদান আরও বেশি করে মনে রাখার মতো এবং গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সে সময় ইংরেজদের আধিপত্য ছিল বেশি। তাদের নির্দেশেই সকল কাজ হতো। এরকম সময়ে বাঙালি হয়ে নিজের মতাদর্শ প্রকাশ করা এবং প্রচার করা অত্যন্ত সাহসিকতার কাজ ছিল নিঃসন্দেহে। ইংরেজদের আধিপত্যের মধ্যেও বাঙালি হয়ে নিজের মতাদর্শ প্রকাশ করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়; Source: twitter.com পলাশীর যুদ্ধের পনেরো বছর পরে বাংলার রাধানগরে ১৭৭২ সালের ২২ মে রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম। একটি সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল তার। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে কাজ করে ইচ্ছা করলে তিনি আভিজাত্যপূর্ণ জীবন অতিবাহিত করতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি বাংলার বাইরে বের হয়েছেন। বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন, সেসব দেশের সংস্কৃতি, সামাজিকতা ও রাজনীতির সংস্পর্শে এসেছেন। নিজ দেশের বাংলা, ইংরেজি কিংবা হিন্দি ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি অন্য দেশের মানুষের সাথে নিজেকে যুক্ত করার জন্য ফার্সি, আরবি, হিব্রু ও গ্রিক ভাষা শিখেছেন। নিজের দেশের সাহিত্যের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বের সংস্কৃতি এবং তাদের সৃষ্ট সাহিত্য আয়ত্ত করেছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, পৃথিবীর পূর্...

সমাজ সংস্কারে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান বা ভূমিকা

উনিশ শতকে ভারতে সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সাথে ধর্মসংস্কার ও শিক্ষান্নোয়নের একটি সম্পর্ক ছিল। বাংলার হিন্দু সমাজ সংস্কারে অভিন্ন বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করা যায়। ইংরেজদের আগমন ও ক্ষমতাসীন হওয়া বাংলার সাধারণ হিন্দু ও মুসলমান দুই সমাজেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। ধর্মীয় রক্ষণশীলতা ও সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে শাসক ইংরেজদের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ অনুমোদন দেয়নি ইংরেজদের সংস্পর্শে আসার। ইংরেজ সান্নিধ্যকে তারা ধর্মীয় অনাচার হিসেবে মনে করতে থাকে। একারণে আধুনিক ইউরোপীয় জ্ঞানের সাথে নিজেদের যুক্ত করতে পারে নি। ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণকে পাপ বিবেচনা করতে থাকে। এই বাস্তবতায় হিন্দু সমাজকে কুসংস্কার মুক্ত করে আধুনিকতার পথে এগিয়ে এনেছিলেন যেকজন বাঙালি সংস্কারক তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য রাজা রামমোহন রায় ও সমাজ সংস্কারে রাজা রামমোহন রায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রামমোহন রায় উনিশ শতকের একজন ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে এক হিন্দু পরিবারে মে ২২, ১৭৭২ খ্রি. তারিখ রাজা রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন। রামমোহন রায়ের পারিবারিক ধর্মীয় ঐতিহ্য সে যুগের বিচারে ব্যাতিক্রমী ছিল। রামমোহন রায়ের পরিবার রাঢ়ী ব্রাহ্মণ এবং পারিবারিক উপাধি বন্দ্যোপাধ্যায়। রামমোহন রায়ের ঠাকুরদা কৃষ্ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ‘রায়’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। রামমোহনের পিতা রামকান্ত রায় বৈষ্ণব মতবাদ গ্রহণ করেন। অন্যদিকে তাঁর মা তারিণী দেবী শৈব পরিবারের মেয়ে ছিলেন। এসব কারণেই সম্ভবত একটি উদার ও মিশ্র ধর্মীয় অবয়বের ভেতর অনেকটা মুক্ত মানসিকতায় বেড়ে উঠেছিলেন রামমোহন রায়। তাই তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা তাঁর ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টি...

রাজা রামমোহন রায়ের অবদান

Contents • • • • • • • • • রাজা রামমোহন রায়ের অবদান ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালির জীবনে ধর্ম , সমাজ , সাহিত্য ও রাজনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে সমুদয় গুরুতর পরিবর্তন হয় , তাদের সবার মূলে না থাকলেও প্রায় সবগুলির সাথেই আধুনিকতার প্রতীক রামমোহন ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী । সংস্কৃত , আরবি ও ফারসি ভাষায় ছিল তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য । ইংরেজি , হিব্রু , গ্রিক , প্রভৃতি ভাষাতেও তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল । ফ্রান্সিস বেকন থেকে শুরু করে লক , হিউম , ভলতেয়ার , নিউটন , পেইন প্রভৃতি মনীষীগণের চিন্তাধারার সাথে ছিল তাঁর আন্তরিক পরিচয় । এমনকি আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ফরাসি বিপ্লবও তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে । ধর্ম ও যুক্তিবাদের সমন্বয় সাধন করা , সামাজিক ক্ষেত্রে কুসংস্কারমুক্ত স্বাধীন ও বলিষ্ঠ চিন্তার সূচনা করার এবং রাজনীতিক্ষেত্রে স্বাধীনতা আনয়ন করা ছিল তাঁর জীবনের আদর্শ । এই কারণে তাঁকে ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ বলা হয় । বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরতাঁর অবদান স্মরণ করে রামমোহনকে ভারত পথিক বলে উল্লেখ করেছেন , গবেষক দিলীপ কুমার বিশ্বাসের ভাষায় তিনি ছিলেন বিশ্ব পথিক । • রাজা রামমোহন রায়ের ধর্ম সংস্কার ভারতীয় সমাজ প্রধানত ধর্মাশ্রয়ী । তাই ধর্মীয় ভ্রান্ত ধ্যানধারণাগুলিই কুসংস্কার রূপে সমাজ জীবনকে গ্রাস করেছিল । রামমোহন সনাতনী হিন্দুধর্মের ক্ষেত্রে যে নতুন ভাবনার সূচনা করেছিলেন , তা একাধারে ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের ভিত্তি রচনা করেছিল ৷ রামমোহনকে বিভিন্ন ধর্মবিষয়ে তুলনামূলক আলোচনা শাস্ত্রের প্রবর্তক বলা যায় । বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে , সকল ধর্মই মূলত ‘ একেশ্বরবাদী ’ । তিনি বেদ ও উপনিষদ ব্যাখ্যা করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে , প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্রে নিরাকার ব্...

রাজা রামমোহন রায়: সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর

Customer Care (Whatsapp Message Only) Email Us [emailprotected] To be a seller! Email Us [emailprotected] Corporate Sales Only (Whatsapp Message) [emailprotected] (E.g. Pharmaceuticals, Banks, Insurances & other Corporate Houses) Retailer Only (Whatsapp Message) [emailprotected] 2/1/E, Eden Center, Arambag, Motijheel, Dhaka-1000

রাজা রামমোহন রায় ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা : সংবাদ অনলাইন

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার বলেছিলেন, রাজা রামমোহন রায় যে কালে বিরাজ করেন সে কাল তেমনি অতীতে অনাগতে পরিব্যপ্ত, আমরা তার সেই কালকে আজও উত্তীর্ণ হতে পারিনি। ভারতের আধুনিক যুগপ্রবর্তক রাজা রামমোহন রায় তার অসাধারণ মনীষা ও কর্মশক্তির প্রভাব ভারত-ইতিহাসে চির চিহ্নিত রেখে গেছেন। মধ্যযুগীয় ভারতকে তিনি হঠাৎ আধুনিক যুগের দ্বারদেশে এনে উপস্থাপিত করলেন, বহু বছরের সঞ্ছিত জড়ত্বের যবনিকা অপসারিত করে মুক্তিসূর্যের আলোকে চতুর্দিক প্রদীপ্ত করে তুললেন এবং অচলায়তনের অবরুদ্ধ বাতায়ন উন্মুক্ত করে বহির্বিশ্বের অবাধ হাওয়া তার মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিলেন। তার অমরচিন্তা ও মননের সাক্ষ্য হয়ে আছে তার সম্পাদিত সংবাদপত্রগুলো। তবে সাংবাদিকতায় রামমোহনের ভূমিকা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সপক্ষে তার ঐতিহাসিক ভূমিকায়। ১৮২৩ সালে সাংবাদিকতায় ভারতীয়দের অভিজ্ঞতার মেয়াদ মাত্র ৫ বছর। সেই প্রেক্ষাপটে রামমোহন ও তার সহযোগীরা কীভাবে এই উন্নত চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে, প্রথম ভারতবর্ষে চৎবংং ভৎববফড়স এর কথা বলেছিলেন তা ভাবতেই অবাক হতে হয়। ভারতবর্ষে তথা ইংরেজ আমলে ভারতের রাজধানী কলকাতায় ব্রিটিশ ও ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের আমগন এবং সে সূত্রেই ভারতবর্ষ তথা কলকাতায় আসা পাশ্চাত্য সভ্যতা, আর স্থানীয় প্রাচ্য সভ্যতার আঁচলে জড়ানো ধর্মীয় কুসংস্কার ও সংস্কারের মিশ্রণে অমৃত যেমন উঠেছিল, গরল-ও তেমনি উঠেছিল। বেড়েছে টানাপোড়েন-অনাচার-অসহিষ্ণুতা এবং উচ্ছৃঙ্খলতা। সবমিলিয়ে নৈতিক অবক্ষয়-এর চিত্ররূপ দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে পৃথিবীকে জানার ও শেখার বিরাট অঙ্গন-ও উন্মুক্ত হয়েছিল তৎকালীন ‘নেটিভ’দের কাছে। দুয়ের দ্বন্দের মধ্যে থেকেই উঠে এল একটা পরিবর্তনের আবহাওয়া; যা পরবর্তীকালে বাংলার সর্বাঙ্গীন বিকাশের দ্যোতক। বাংলার সম...

English to Hindi Transliterate

রাজা রামমোহন রায় (মে ২২, ১৭৭২ – সেপ্টেম্বর ২৭, ১৮৩৩) প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক। তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছিলেন। তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য। তখন হিন্দু বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে বা আত্মহুতি দিতে বাধ্য করা হত। রামমোহন রায় কলকাতায় আগস্ট ২০, ১৮২৮ সালে ইংল্যান্ড যাত্রার আগে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহিত ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে এই ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসাবে কাজ করে। শৈশব ও শিক্ষা মে ২২,১৭৭২ সালে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন এক সম্ভ্রান্ত কুলীন (বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাহ্মণ বংশে)। তাঁর বংশে অদ্ভুত বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যায়। প্রপিতামহ কৃষ্ণকান্ত ফারুখশিয়ারের আমলে বাংলার সুবেদারের আমিনের কার্য করতেন। সেই সূত্রেই বোধ করি এদের 'রায়' পদবীর ব্যবহার। কৃষ্ণকান্তের কনিষ্ঠ পুত্র ব্রজবিনোদ রামমোহনের পিতামহ। পিতা রামকান্ত। রামকান্তের তিন বিবাহ। মধ্যমা পত্নী তারিণীর এক কন্যা ও দুই পুত্র : জগমোহন ও রামমোহন। এঁদের বংশ ছিল বৈষ্ণব, কিন্তু রামমোহনের মাতা ছিলেন ঘোর তান্ত্রিক ঘরের কন্যা। রামকান্ত পৈতৃক এজমালি ভদ্রাসন ছেড়ে পার্শ্ববর্তী লাঙ্গুলপাড়া গ্রামে স্ব-পরিবারে উঠে যান। তার পিতা রামকান্ত রায় ছিলেন বৈষ্ণবী এবং মাতা তারিণী দেবী ছিলেন শাক্ত। পনেরো-ষোলো বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে নানাস্থানে ঘোরেন। কাশীতে ও পাটনায় কিছুকাল ছিলেন এবং নেপালে গিয়েছিলেন। এর আগে তাঁর সঙ্গে তন্ত্রশাস্ত্রবেত্তা সুপণ্ডিত নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কারে...

রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী

রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী PDF | Raja Ram Mohan Roy Biography in Bengali PDF রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে আপনাদের কাছে প্রেরণ করছি রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী। এই প্রতিবেদনটি খুবই সহজসাধ্য ভাষায় বর্ণিত এটি আপনাদের হৃদয়গম হবে। রাজা রামমোহন রায় নাম রামমোহন রায় জন্ম ২২শে মে ১৭৭২ জন্মস্থান রাধানগর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত মৃত্যু ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৮৩৩ “বেটার বাড়ি খানাকুল বেটা সর্বনাশের মূল ওঁ তৎসৎ বলে বেটা বানিয়েছে স্কুল ও সে জাতের দফা, করলে রফা, মজালে তিন কুল” অষ্টাদশ শতাব্দীর বঙ্গভূমিতে নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায়ের আবির্ভাব তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্ম ও শিক্ষাক্ষেত্রে যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল তা আমাদের বিস্ময়ে অভিভূত করে। সমকালের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এক আশ্চর্য ব্যতিক্রম তা বলার বাহুল্য রাখে না। সমাজসংস্কারক রূপে কিংবা বাঙালি মায়ের করুনার বিগলিত প্রাণ রূপে তার প্রাণ ছিল বজ্রতুল‍্য। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন অসাধারণ পাণ্ডিত্যের অধিকারী, অজেয় পুরুষ এবং অক্ষয় মনুষ্যত্বের অধিকারী। জীবনী ১৭২২ সালের ২২শে মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির রাধানগর গ্রাম যা বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার খানাকুল ব্লকের অন্তর্গত রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাম্ভন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাজা রামমোহন রায়। রামকান্ত রায় ও তারিণী দেবী ছিলেন তার পিতা ও মাতা। বলাবাহুল্য বংশগতি সূত্রে পদবী বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও প্রপিতামহ কৃষ্ণকান্ত ফারুকশিয়ার আমলে বাংলার সুবেদারের আমিনের কার্যহেতু ‘রায়’ পদবী পেয়েছিলেন। শিক্ষা জীবন ছোটবেলা থেকে অসাধারণ মেধাবী ও প্রতিভাবান চরিত্রের অধিকারী রামমোহন রায় পা...

রাজা রামমোহন রায়

রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম পরিচয়, শৈশব ও শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন, ধর্মসংস্কার, সমাজ সংস্কার, রাজনৈতিক সংস্কার সম্পর্কে তুলে ধরা হল। রাজা রামমোহন রায় মনীষী রাজা রামমোহন রায় জন্ম ২২ মে ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ জন্মস্থান হুগলি জেলার রাধানগর গ্রাম পিতা রামকান্ত রায় মাতা তারিণী দেবী মৃত্যু ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ (বয়স ৬১) মৃত্যুস্থান স্ট্যাপলেটন, ব্রিস্টল রাজা রামমোহন রায় ভূমিকা :- রাজা রামমোহন রায় রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম পরিচয় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দের ২২শে মে রাজা রামমোহন রায়ের বংশ পরিচয় কুসংস্কার বিরোধী রাজা রামমোহন রায়ের পিতার নাম রামকান্ত রায় এবং মায়ের নাম তারিণী। তার পিতা রামকান্ত রায় ছিলেন বৈষ্ণব এবং মাতা তারিণী দেবী ছিলেন শাক্ত। রাজা রামমোহন রায়ের শৈশব ও শিক্ষাজীবন তৎকালীন সময়ের নিয়ম অনুসারে রামমোহনের শিক্ষা জীবনে ব্যাপক আড়ম্বরের সমারোহ ছিল না। তিনি মাত্র ১৫-১৬ বছর বয়সে গৃহত্যাগ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণকালে তিনি অসংখ্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের থেকে বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা আত্মস্থ করেন। • (১) গৃহত্যাগী অবস্থায় তিনি • (২) কাশীতে সংস্কৃত শিক্ষার পর পাটনায় থাকাকালীন তিনি আরবি এবং ফারসি ভাষা শেখেন। • (৩) পরবর্তীকালে গুরু হরিহরানন্দ স্বামীর কাছে রাজা রামমোহন রায় ইংরেজি, গ্রিক এবং হিব্রু ভাষাতেও ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। • (৪) বেদান্ত সম্পর্কেও রামমোহন রায়ের অনুরাগ জন্মায়। রাজা রামমোহন রায়ের কর্মজীবন রাজা রামমোহন রায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। • (১) তরুণ বয়সে তিনি কলকাতায় মহাজনের কাজ করতেন। ১৭৯৬ সালে রামমোহন অর্থোপার্জন শুরু করেন। • (২) ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ • (৩) রংপুরের কালেকটর ডিগবি সাহেব রাজা রামমোহন ...

রামমোহন রায়

• العربية • مصرى • অসমীয়া • Беларуская • भोजपुरी • Čeština • Dansk • Deutsch • English • Esperanto • Español • Eesti • Euskara • فارسی • Suomi • Français • गोंयची कोंकणी / Gõychi Konknni • ગુજરાતી • עברית • हिन्दी • Magyar • Bahasa Indonesia • Italiano • 日本語 • ქართული • ಕನ್ನಡ • 한국어 • कॉशुर / کٲشُر • Latina • മലയാളം • मराठी • Bahasa Melayu • नेपाली • ଓଡ଼ିଆ • ਪੰਜਾਬੀ • Polski • پنجابی • Português • Русский • संस्कृतम् • ᱥᱟᱱᱛᱟᱲᱤ • සිංහල • Svenska • தமிழ் • తెలుగు • Türkçe • Українська • اردو • 吴语 • 中文 রাজা রামমোহন রায় ( ১৭৭২-০৫-২২)২২ মে ১৭৭২ – অক্টোবর ৩০, ১৮৩৩ ( ১৮৩৩-১০-৩০) লন্ডনে রায় (১৮৩৩), জন্ম তারিখ ( ১৭৭২-০৫-২২)২২ মে ১৭৭২ জন্মস্থান মৃত্যু তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ১৮৩৩ (1833-09-27) (বয়স৬১) মৃত্যুস্থান জাতীয়তা আন্দোলন প্রধান সংগঠন ধর্ম স্বাক্ষর রামমোহন রায়, যিনি সচরাচর রাজা রামমোহন রায় বলে অভিহিত, (২২ মে, ১৭৭২ – সেপ্টেম্বর ২৭, ১৮৩৩) রামমোহন রায় শৈশব ও শিক্ষা [ ] ১৭৭২ সালের ২২শে মে কর্ম-জীবন [ ] তরুণ বয়সে তিনি সে সময় রংপুর জেলা সদরের অফিস-আদালত ছিল ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে রামমোহন তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ তুহফাতুল মুহাহহিদিন। বইটিতে একেশ্বরবাদের সমর্থন আছে। এরপর বেদান্তগ্রন্থ, বেদান্তসার, কেনোপনিষদ, ঈশোপনিষদ, কঠোপনিষদ, মাণ্ডূক্যোপনিষদ ও মুণ্ডকোপনিষদ। রক্ষণশীল ব্যক্তিরা ক্রুদ্ধ হয়ে তার লেখার প্রতিবাদ দেখাতে লাগলেন। এই সব প্রতিবাদ কটূক্তিপূর্ণ এবং বিদ্বেষ ভাবাপন্ন। রামমোহনও প্রতিবাদের প্রতিবাদ করলেন যুক্তি দিয়ে ও ভদ্রভাষায়। প্রতিবাদ-কর্তারা অবিলম্বে থেমে গিয়েছিলেন। প্রতিবাদ-কর্তাদের মধ্যে প্রথম ও প্রধান ছিলেন ভট্টাচার্যের সহিত বিচার লিখে প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছ...

রাজা রামমোহন রায়: সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর

Customer Care (Whatsapp Message Only) Email Us [emailprotected] To be a seller! Email Us [emailprotected] Corporate Sales Only (Whatsapp Message) [emailprotected] (E.g. Pharmaceuticals, Banks, Insurances & other Corporate Houses) Retailer Only (Whatsapp Message) [emailprotected] 2/1/E, Eden Center, Arambag, Motijheel, Dhaka-1000